তুলসি গাছের কিছু অনবদ্দ গুনাগুন

তুলসী পাতার আজব কিছু ভেষজ ঔষধি গুন, অন্তত একবার পড়ে দেখুন !

মানুষ একসময় প্রকৃতি থেকেই তাঁর অসুখ বিশুখের পথ্য আহরন করতো। বিভিন্ন গাছ , লতা , পাতা বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে ব্যবহৃত হতো। এসবে কোন পার্স প্রতিক্রিয়া নেই। মানুষ যত আধুনিক হচ্ছে, এসবকে পরিত্যাগ করছে। তবে চীন এবং ভারতে এই ভেষজ চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে ব্যাপক গবেষণা হচ্ছে। আজ আমরা জানবো তুলসী পাতা সম্পর্কেঃ
তুলসী একটি ঔষধিগাছ। তুলসী অর্থ যার তুলনা নেই। সুগন্ধিযুক্ত, কটু তিক্তরস, রুচিকর। এটি সর্দি, কাশি, কৃমি ও বায়ুনাশক এবং মুত্রকর, হজমকারক ও এন্টিসেপটিক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে বিশেষ করে কফের প্রাধান্যে যে সব রোগ সৃষ্টি হয় সে ক্ষেত্রে তুলসী বেশ ফলদায়ক। চলুন জেনে নেয়া যাক তুলসী পাতা সম্পর্কেঃ
* পেট খারাপ হলে তুলসীর ১০ টা পাতা সামান্য জিরের সঙ্গে পিষে ৩-৪ বার খান ৷ হাগু একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে!!! মানে পায়খানার ওই সমস্যাটা আর কি!
* জ্বর হলে পানির মধ্যে তুলসী পাতা, গোল মরিচ এবং মিশ্রী মিশিয়ে ভাল করে সেদ্ধ করুন ৷ অথবা তিনটি দ্রব্য মিশিয়ে বড়ি তৈরি করুন ৷ দিনের মধ্যে তিন-চার বার ঐ বড়িটা জলের সঙ্গে খান ৷ জ্বর খুব তাড়াতাড়ি সেরে যাবে ৷
* কাশি যদি না কমে সেই ক্ষেত্রে তুলসী পাতা এবং আদা পিষে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খান৷ এতে উপকার পাবেন৷ * মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে দিনে ৪/৫ বার তুলসী পাতা চেবান৷ * ঘা যদি দ্রুত কমাতে চান তাহলে তুলসী পাতা এবং ফিটকিরি একসঙ্গে পিষে ঘা এর স্থানে লাগান কমে যাবে৷ * শরীরের কোন অংশ যদি পুড়ে যায় তাহলে তুলসীর রস এবং নারকেলের তেল ফেটিয়ে লাগান এতে জ্বালা কমবে৷ পোড়া জায়গাটা তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে৷ সেখানে কোন দাগ থাকবে না৷
* ডায়রিয়া হলে ১০ থেকে বারোটি পাতা পিষে রস খেয়ে ফেলুন।
* শরীরের কোন অংশ যদি পুড়ে যায় তাহলে তুলসীর রস এবং নারকেলের তেল ফেটিয়ে লাগান, এতে জ্বালাপোড়া কমে যাবে। পোড়া জায়গাটা তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে এবং পোড়া দাগ ওঠে যাবে।
* সকালবেলা খালি পেটে তুলসী পাতা চিবিয়ে রস পান করলে খাবার রুচী বাড়ে।
* নিয়মিত তুলসীর রস পানে হৃদরোগেও উপকার পাওয়া যায়।
* চোখের সমস্যা দূর করতে রাতে কয়েকটি তুলসী পাতা পানিতে ভিজিয়ে রেখে ওই পানি দিয়ে সকালে চোখ ধুয়ে ফেলুন।
* মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে দিনে ৪-৫ বার তুলসী পাতা চেবান ৷
* ঘা যদি দ্রুত কমাতে চান তাহলে তুলসী পাতা এবং ফিটকিরি একসঙ্গে পিষে ঘা এর স্থানে লাগান, কমে যাবে ৷
* ত্বকের চমক বাড়ানোর জন্য, এছাড়াও ত্বকের বলীরেখা এবং ব্রোন দূর করার জন্য তুলসী পাতা পিষে মুখে লাগান ৷
* বুদ্ধি এবং স্মরণশক্তি বাড়ানোর জন্য প্রতিদিন ৫-৭ টা তুলসী পাতা চিবান ৷
* প্রস্রাবে জ্বালা হলে তুলসী পাতার রস ২৫০ গ্রাম দুধ এবং ১৫০ গ্রাম জলের মধ্যে মিশিয়ে পান করুন ৷ উপকার পাবেন ৷
* ত্বকের সমস্যা দূর করতে তিল তেলের মধ্যে তুলসী পাতা ফেলে হালকা গরম করে ত্বকে লাগান ৷
* কোন কারনে রক্ত দূষিত হলে কাল তুলসিপাতার রস কিছুদিন খেলে উপকার পাওয়া যায়। শ্লেষ্মার জন্য নাক বন্ধ হয়ে কোনো গন্ধ পাওয়া না গেলে সে সময় শুষ্ক পাতা চূর্ণের নস্যি নিলে সেরে যায়। পাতাচূর্ণ দুই আঙ্গুলের চিমটি দিয়ে ধরে নাক দিয়ে টানতে হয়, সেটাই নস্যি।
* তুলসি পাতার রসে লবন মিশিয়ে দাদে লাগালে উপশম হয়।


* ত্বকের চমক বাড়ানোর জন্য এছাড়া ত্বকের বলীরেখা এবং ব্রন দূর করার জন্য তুলসী পাতা পিষে মুখে লাগান৷
* চর্মরোগে তুলসী পাতা দূর্বাঘাসের ডগার সংগে বেটে মাখলে ভালো হয়ে যায়।
* যদি কখনও বমি কিংবা মাথা ঘোরা শুরু করে, তাহলে তুলসী রসের মধ্যে গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।
* তুলসী মূল শুক্র গাঢ় কারক। তুলসী পাতার ক্বাথ, এলাচ গুঁড়া এবং এক তোলা পরিমাণ মিছরী পান করলে ধাতুপুষ্টি সাধিত হয় যতদিন সম্ভব খাওয়া যায়। এটি অত্যন্ত ইন্দ্রিয় উত্তেজক। প্রতিদিন এক ইঞ্চি পরিমাণ তুলসী গাছের শিকড় পানের সাথে খেলে যৌনদূর্বলতা রোগ সেরে যায়।
* তুলসী পাতা দিয়ে চায়ের মত করে খেলে দীর্ঘদিন সুস্থ থাকা যায়। তুলসী চা হিসাবে এটি বেশ জনপ্রিয়।
*  তুলসীর বীজ পানিতে ভিজালে পিচ্ছিল হয়। এই পানিতে চিনি মিশিয়ে শরবতের মত করে খেলে প্রস্রাবজনিত জ্বালা যন্ত্রনায় বিশেষ উপকার হয়। এছাড়াও তুলসী পাতার রস ২৫০ গ্রাম দুধ এবং ১৫০ গ্রাম জলের মধ্যে মিশিয়ে পান করুন ।
* মুখে বসন্তের কাল দাগে তুলসীর রস মাখলে ঐ দাগ মিলিয়ে যায়। হামের পর যে সব শিশুর শরীরে কালো দাগ হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে তুলসী পাতার রস মাখলে গায়ে স্বাভাবিক রং ফিরে আসে।



তুলসী গাছ আমাদের সবারই কমবেশি চেনা। এর বৈজ্ঞানিক নাম Ocimum tenuiflorum, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের  জন্য তুলসী পবিত্রতার প্রতীক। তাই একে হলি বেসিলও বলা হয়ে থাকে। বিভিন্ন রোগ নিরাময় করার ক্ষমতা তুলসী পাতার আছে। প্রচলিত আছে যে, তুলসী পাতা নিয়মিত সেবন করলে সুস্থ ও দীর্ঘ জীবন লাভ করা যায়। আসুন জেনে নেই তুলসী পাতার উপকারিতা গুলো।

১। নিরাময় ক্ষমতা

তুলসী পাতার অনেক ঔষধি গুনাগুণ আছে। তুলসি পাতা নার্ভ টনিক ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি কারী। এটা শ্বাস নালী থেকে সর্দিকাশী দূর করে। তুলসীর ক্ষত সারানোর ক্ষমতা আছে। তুলসী পাকস্থলীর শক্তি বৃদ্ধি করে ও অনেক বেশি ঘাম নিঃসৃত হতে সাহায্য করে।

২। জ্বর ভালো করে

তুলসীর জীবাণু নাশক, ছত্রাক নাশক ও ব্যাক্টেরিয়া নাশক ক্ষমতা আছে। তাই এটা জ্বর ভালো করতে পারে। সাধারণ জ্বর থেকে ম্যালেরিয়ার জ্বর পর্যন্ত ভালো করতে পারে তুলসী পাতা।

    -     
আধা লিটার পানিতে কিছু তুলসী পাতা ও এলাচ গুঁড়া  দিয়ে ফুটিয়ে নিন
    -     
এক্ষেত্রে তুলসী ও এলাচ গুঁড়ার অনুপাত হবে ১:০.৩
    -     
জ্বাল দিতে দিতে মিশ্রণটিকে অর্ধেক করে ফেলুন
    -     
মিশ্রণটির সাথে চিনি ও দুধ মিশিয়ে ২-৩ ঘণ্টা পর পর পান করুন
    -     
এই মিশ্রণটি শিশুদের জন্য অনেক কার্যকরী।

৩। ডায়াবেটিস নিরাময় করে

তুলসী পাতায় প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও এসেনশিয়াল অয়েল আছে যা ইউজেনল, মিথাইল ইউজেনল ও ক্যারিওফাইলিন উৎপন্ন করে। এই উপাদান গুলো অগ্নাশয়ের বিটা সেলকে কাজ করতে সাহায্য করে( বিটা সেল ইনসুলিন জমা রাখে ও নিঃসৃত করে)। যার ফলে ইনসুলিন এর সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি পায়। এতে ব্লাড সুগার কমে এবং ডায়াবেটিস ভালো হয়।

৪। কিডনি পাথর দূর করে  

রক্তের ইউরিক এসিড-এর লেভেলকে কমতে সাহায্য করে কিডনিকে পরিষ্কার করে তুলসী পাতা। তুলসীর অ্যাসেটিক এসিড এবং  এসেনশিয়াল অয়েল এর উপাদান গুলো কিডনির পাথর ভাঙতে সাহায্য করে ও ব্যাথা কমায়। কিডনির পাথর দূর করার জন্য প্রতিদিন তুলসী পাতার রসের সাথে মধু মিশিয়ে খেতে হবে। এভাবে নিয়মিত ৬ মাস খেলে কিডনি পাথর দূর হবে।

৫। ক্যান্সার নিরাময় করে

তুলসীর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি কারসেনোজেনিক উপাদান ব্রেস্ট ক্যান্সার ও ওরাল ক্যান্সার এর বৃদ্ধিকে বন্ধ করতে পারে। কারণ এর উপাদানগুলো টিউমারের মধ্যে রক্ত চলাচল বন্ধ করে দেয়। উপকার পেতে প্রতিদিন তুলসীর রস খান।

৬। শিশুদের বিভিন্ন অসুখ যেমন- ঠাণ্ডা, জ্বর,ডায়রিয়া, বমি ইত্যাদি ভালো করে। শিশুদের চিকেন পক্সের দাগ যদি না যায় তাহলে তুলসীর রসের সাথে জাফরান মিশিয়ে ব্যবহার করলে দাগ দূর হবে।

৭। তুলসীর স্ট্রেস কমানোর ক্ষমতা আছে। সুস্থ মানুষও প্রতিদিন ১২ টি তুলসী পাতা চিবালে স্ট্রেস মুক্ত থাকতে পারবেন।

৮। তুলসী পাতা মুখের আলসার ভালো করতে পারে।

৯। মাথা ব্যথা ভালো করতে পারে।এর জন্য চন্দনের পেস্ট এর সাথে তুলসী পাতা বাটা মিশিয়ে কপালে লাগালে মাথাব্যথা ভালো হবে।

১০। ওজন কমতে সাহায্য করে

১১। দাঁতের জন্য ভালো।

১২। তুলসী পাতা রক্ত পরিষ্কার করে, কোলেস্টেরল কমায়

১৩। পোকায় কামড় দিলে তুলসীর রস ব্যবহার করলে ব্যথা দূর হয়।


বাংলায় তুলসি অন্যান্য নাম: Holy basil, Tulsi तुलसी (হিন্দি, তামিল, তেলেগু), Trittavu (মালয়ম), Tulshi (মারাঠী) বৈজ্ঞানিক নামঃ Ocimum tenuiflorum L. - holy basil ইংরেজি নামঃ Sacred Basil, Holy Basil.

পরিচিতিঃ সাধারনত ভেজা মাটিতে তুলসী গাছের জন্ম হয়ে থাকে । তুলসী শাখা প্রধান গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। গাছটির সমস্ত শরীরে একধরণের সুক্ষ্মতা বিদ্যমান । পূর্ণাঙ্গ উদ্ভিদ ৭৫-৯০ সে.মি. হয়। শাখা-প্রশাখা শক্ত ও চতুষ্কোনাকার। তুলসী ঔষধি ও চিরহরিৎ গুল্মজাতীয় গাছ। পাতা ২ থেকে ৪ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। তবে এর পাতার কিনারা খাঁজকাটা। শাখা-প্রশাখার সামনের অংশ থেকে পাঁচটি ফুলের ডাল বের হয় এবং প্রতিটি ডালের চারদিকে ছাতার মতো ১০ থেকে ১২টি স্তরে থরেথরে ফুল ধরে। তুলসী ফুল ছোট পার্পেল বা হালকা লালচে বঙের হয়, সিলিন্ডারাকৃতির স্পাইকে ফুল গুলো ঘন হয়ে জন্মে থাকে। ফল গুলো ও ছোট, বীজ হলুদ বা একটু লালচে ধরনের। তুলসী গাছের ফুল, ফল এবং পাতার একটি ঝাঁজালো গন্ধ আছে। বাংলাদেশ ও ভারতের সর্বত্র এ গাছ দেখতে পাওয়া যায়। এ গাছের গুণাগুণের কথা বিভিন্ন প্রাচীন গ্রন্থেও উল্লেখ আছে।

ধর্মীয় কারণঃ ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণে তুলসীকে সীতাস্বরূপা, স্কন্দপুরাণে লক্ষীস্বরূপা, চর্কসংহিতায় বিষ্ণুর ন্যায় ভুমি, পরিবেশ ও আমাদের রক্ষাকারী বলে বিষ্ণুপ্রিয়া, ঋকবেদে কল্যাণী বলা হয়েছে । স্বয়ং ভগবান বিষ্ণু তুলসী দেবীকে পবিত্রা বৃন্দা বলে আখ্যায়িত করে এর সেবা করতে বলেছেন। পরিবেশগত কারণঃ পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে তুলসীগাছ একমাত্র উদ্ভিদ যা দিন রাত চব্বিশ ঘণ্টা অক্সিজেন সরবরাহ করে বায়ু বিশুদ্ধ রাখে যেখানে অন্য যেকোন গাছ রাত্রিতে কার্বন ডাই অক্সাইড ত্যাগ করে তাই রাতের বেলাতে তুলসীতলায় শয়ন করাও ব্যক্তির জন্য উপকারীএছাড়া তুলসীগাছ ভুমি ক্ষয়রোধক এবং তুলসী গাছ লাগালে তা মশা কীটপতঙ্গ ও সাপ থেকে দূরে রাখে।

তুলসীর স্বাস্থ্যগুণ:
»
চর্মরোগে তুলসী পাতা দূর্বাঘাসের ডগার সংগে বেটে মাখলে ভালো হয়ে যায়।
»
উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল কমিয়ে হূৎপিণ্ডের রক্ত সরবরাহের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
»
হাড়ের গাঁথুনিতে ব্যথা দূর করে এবং শরীরের কাটাছেঁড়া দ্রুত শুকাতে অবদান রাখে।
»
ঠাণ্ডা মরসুমে ছোট বাচ্চাদের তুলসির পাতা খাওয়ালে কৃমি দূর হবে এবং মাংসপেশি ও হাড় হবে শক্তিশালী।
»
জ্বর হলে পানির মধ্যে তুলসী পাতা, গোল মরিচ এবং মিশ্রী মিশিয়ে ভাল করে সেদ্ধ করে নিন ৷ অথবা উপরিউক্ত তিনটে দ্রব্য মিশিয়ে বড়ি তৈরি করুন ৷ দিনের মধ্যে তিন-চার বার ঐ বড়িটা পানি দিয়ে সেবন করুণ । জ্বর খুব তাড়াতাড়ি সেরে যাবে।
»
কাশি হলে তুলসী পাতা এবং আদা একসাথে পিষে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খান ৷ এতে উপকার পাবেন ৷
»
ডাইরিয়া হলে ১০ থেকে বারোটি পাতা পিষে রস খেয়ে ফেলুন।
»
মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে দিনে ৪-বার তুলসী পাতা চেবান ।
»
আপনার শরীরে যদি কোনরকম ঘা যদি থাকে তাহলে তাহলে তুলসী পাতা এবং ফিটকিরি একসঙ্গে পিষে ঘা এর স্থানে লাগান।
»
শরীরের কোন অংশ যদি পুড়ে যায় তাহলে তুলসীর রস এবং নারকেলের তেল ফেটিয়ে লাগান, এতে জ্বালাপোড়া কমে যাবে। পোড়া জায়গাটা তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে এবং পোড়া দাগ ওঠে যাবে।
»
ত্বকের রোশনি বাড়ানোর জন্য, ত্বকের বলীরেখা এবং ব্রোন দূর করার জন্য তুলসী পাতা পিষে মুখে লাগান।
»
প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া দূর করতে হলে তুলসী পাতার রস ২৫০ গ্রাম দুধ এবং ১৫০ গ্রাম জলের মধ্যে মিশিয়ে পান করুন । তুলসি গাছের বীজও যথেষ্ট উপকারী। এর বীজ শুকিয়ে মিহি করে খেলে প্রস্রাবের ইনফেকশনজনিত সমস্যা ভালো হয়। পুরুষত্বহীনতা দূরীকরণে এই পাতার অবদান অপরিহার্য।
»
যদি কখনও বমি কিংবা মাথা ঘোরা শুরু করে, তাহলে তুলসী রসের মধ্যে গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।
»
সকালবেলা খালি পেটে তুলসী পাতা চিবিয়ে রস পান করলে খাবার রুচী বাড়ে।
»
নিয়মিত তুলসীর রস পানে হৃদরোগেও উপকার পাওয়া যায়।
»
চোখের সমস্যা দূর করতে রাতে কয়েকটি তুলসী পাতা পানিতে ভিজিয়ে রেখে ওই পানি দিয়ে সকালে চোখ ধুয়ে ফেলুন।
»
তুলসীতে Eugenol অধিক পরিমাণে থাকায় তা Cox-2 Inhibitor রূপে কাজ করে বলে তা ব্যথানাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
» Hypoglycemic drugs
এর সাথে তুলসী খেলে তা টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগে দ্রুত গ্লুকোজের মাত্রা কমিয়ে দেয়।
»
তেজস্ক্রিয়তার ফলে ক্ষতিগ্রস্থ কোষসমুহকে মেরামত করে।
»
চর্বিজনিত হৃদরোগে এন্টি অক্সিডেন্টের ভুমিকা পালন করে।
»
তুলসী একশেরও বেশি Phytochemicals (যেমন oleanolic acid, beta caryophyllene ইত্যাদি)বহন করে বলে ক্যান্সার চিকিত্সারয় ব্যবহৃত হয়।
»
তুলসীর অ্যালকোহলিক নির্যাস Immune system এর রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে।
»
তুলসী স্নায়ুটনিক ও স্মৃতিবর্ধক।
»
শ্বসনতন্ত্রের বিভিন্নরোগ যেমন ব্রঙ্কাইটিস, ইনফ্লুয়েঞ্জা, হাঁপানি প্রভৃতি রোগের নিরাময়ক।
»
সর্দি, কাশি, জ্বর, বমি, ডায়ারিয়া, কলেরা, কিডনির পাথর, মুখের আলসারসহ চোখের বিভিন্ন রোগে ইহা ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
»
দাঁতের রোগে উপশমকারী বলে টুথপেস্ট তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।


৫টি রোগ চটজলদি সারাবে তুলসি পাতা, কীভাবে ব্যবহার করবেন?



অনেকের ঘরেই আজকাল তুলসি গাছ চোখে পড়ে থাকে হিন্দু ধর্মের মানুষের কাছে তুলসি গাছের অর্থ ধর্মীয় দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তো বটেই, সাধারণ অর্থেও আর দশটা গাছের তুলনায় তুলসি গাছের গুনাগুন বেশ ভিন্ন।
কারণ তুলসি পাতার রয়েছে ঔষধি গুণাগুণ, রোগ নিরাময়ের ক্ষমতা। ছোটোখাটো অনেক রোগের বেশ ভালো ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয় এই তুলসি পাতা। আজকে দেখে নেয়া যাক এমনই ৫ টি রোগের ঔষধ হিসেবে তুলসি পাতার ব্যবহার।

জ্বরঃ

তুলসীপাতা সবথেকে বেশি যে অসুখের হাত থেকে আপনাকে রক্ষা করবে তা হল জ্বর। চায়ে তুলসীপাতা সেদ্ধ করে সেই পাণীয় যদি পান করেন, তবে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু প্রভৃতি অসুখ থেকে রক্ষা পেতে পারেন। আপনার পরিবারের কারো জ্বর হলে তাকে তুলসীপাতা এবং দারুচিনি মেশানো ঠান্ডা চা পান করান। জ্বর সেরে যাবে দ্রুত।

গলার ব্যাথাঃ

সামান্য গরম পানিতে তুলসীপাতা দিয়ে সেদ্ধ করে নিয়ে, সেই পানি দিয়ে গার্গল করলে বা পানি পান করলে আপনার গলার ব্যাথা দ্রুত সেরে যাবে।

সর্দি ও কাশিঃ

সর্দি-কাসি প্রায় প্রত্যেকটি মৌসুমের খুব সাধারণ একটি অসুখ যা সবাইকে সমস্যা দেয়। এই সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পেতে গেলে তুলসীপাতা ৫ মিনিট চিবিয়ে রসটি গিলে নিন। তাহলে এই সমস্যার হাত থেকে সহজেই সমাধান পেয়ে যাবেন।

ত্বকের সমস্যাঃ

ত্বকে ব্রণের সমস্যা সমাধানের একটি সহজ ও অন্যতম উপায় হল তুলসীপাতা। এছাড়াও নানান রকম অ্যালার্জি ও র‍্যাশে কার্যকর। তুলসীপাতার পেস্ট তৈরি করে তা ত্বকে লাগালে এই সমস্যাগুলি কমে যায়।

কিডনির সমস্যাঃ

তুলসীপাতা আপনার কিডনীর বেশ কিছু রোগের সমাধান করে দিতে পারে। তুলসীপাতার রস প্রতিদিন একগ্লাস করে পান করলে, কিডনীতে স্টোন হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম থাকে। যদি কিডনীতে স্টোন জমে যায় তবে তুলসীপাতার রস টানা ৬ মাস পান করলে সেই স্টোন মূত্রের সঙ্গে বেরিয়ে যায়।




লসীপাতা বাঙালী এবং ভারতীয়দের কাছে খুবই চেনা একটি গাছের পাতা। তুলসীপাতা পুজোর জন্য ব্যবহৃত হয়। কিন্তু তুলসীপাতা আপনাকে বহু অসুখ থেকে রক্ষা করে আপনাকে এই আবহাওয়ার পরিবর্তনের বিভিন্ন সংক্রামক রোগ থেকে বাঁচিয়ে রাখবে। তাই জেনে নিনি তুলসীপাতার কিছু মহার্ঘ্য উপকার।
জ্বরঃ
তুলসীপাতা সবথেকে বেশি যে অসুখের হাত থেকে আপনাকে রক্ষা করবে তা হল জ্বর। চায়ে তুলসীপাতা সেদ্ধ করে সেই পাণীয় যদি পান করেন, তবে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু প্রভৃতি অসুখ থেকে রক্ষা পেতে পারেন। আপনার পরিবারের কারুর জ্বর হলে তাকে তুলসীপাতা এবং দারুচিনি মেশানো ঠান্ডা চা পান করালে জ্বর সেরে যাবে দ্রুত।
গলার ব্যাথাঃ
সামান্য গরম জলে তুলসীপাতা দিয়ে সেদ্ধ করে নিয়ে, সেই জল দিয়ে গার্গল করলে বা জল পান করলে আপনার গলার ব্যাথা দ্রুত সেরে যাবে।
সর্দি ও কাশিঃ
সর্দি-কাসি প্রায় প্রত্যেকটি মরসুমের খুব সাধারণ একটি অসুখ যা সবাইকে সমস্যা দেয়। এই সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পেতে গেলে তুলসীপাতা ৫ মিনিট চিবিয়ে রসটি গিলে নিন। তাহলে এই সমস্যার হাত থেকে সহজেই সমাধান পেয়ে যাবেন।
ত্বকের সমস্যাঃ
মাঝে মধ্যেই ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা আপনাকে জর্জরিত করে তোলে। ত্বকে বিভিন্ন মরসুমে বিভিন্ন ধ্রনের সমস্যা দেখা যায়। সেই সমস্যা সমাধানের একটি সহজ ও অন্যতম উপায় হল তুলসীপাতার পেস্ট লাগান। তুলসীপাতার পেস্ট তৈরি করে তা ত্বকে লাগালে এই সমস্যাগুলি কমে যায়।
কিডনির সমস্যাঃ
তুলসীপাতা আপনার কিডনীর বেশ কিছু রোগের সমাধান করে দিতে পারেতুলসীপাতার রস প্রতিদিন একগ্লাস করে পান করলে, কিডনীতে স্টোন হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম থাকে। যদি কিডনীতে স্টোন জমে যায় তবে তুলসীপাতার রস টানা ৬ মাস পান করলে সেই স্টোন মূত্রের সঙ্গে বেরিয়ে যায়।


তুলসীর স্বাস্থ্যগুন:
»চর্মরোগে তুলসী পাতা দূর্বাঘাসের ডগার সংগে বেটে মাখলে ভালো হয়ে যায়।
»উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল কমিয়ে হূৎপিণ্ডের রক্ত সরবরাহের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
»হাড়ের গাঁথুনিতে ব্যথা দূর করে এবং শরীরের কাটাছেঁড়া দ্রুত শুকাতে অবদান রাখে।
»ঠাণ্ডা মৌসুমে ছোট বাচ্চাদের তুলসির পাতা খাওয়ালে কৃমি দূর হবে এবং মাংসপেশি ও হাড় হবে শক্তিশালী।
»জ্বর হলে পানির মধ্যে তুলসী পাতা, গোল মরিচ এবং মিশ্রী মিশিয়ে ভাল করে সেদ্ধ করে নিন ৷ অথবা উপরিউক্ত তিনটে দ্রব্য মিশিয়ে বড়ি তৈরি করুন ৷ দিনের মধ্যে তিন-চার বার ঐ বড়িটা পানি দিয়ে সেবন করুণ । জ্বর খুব তাড়াতাড়ি সেরে যাবে।
»কাশি হলে তুলসী পাতা এবং আদা একসাথে পিষে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খান ৷ এতে উপকার পাবেন ৷
»ডাইরিয়া হলে ১০ থেকে বারোটি পাতা পিষে রস খেয়ে ফেলুন।
»মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে দিনে ৪-বার তুলসী পাতা চেবান ।
»আপনার শরীরে যদি কোনরকম ঘা যদি থাকে তাহলে তাহলে তুলসী পাতা এবং ফিটকিরি একসঙ্গে পিষে ঘা এর স্থানে লাগান।
»শরীরের কোন অংশ যদি পুড়ে যায় তাহলে তুলসীর রস এবং নারকেলের তেল ফেটিয়ে লাগান, এতে জ্বালাপোড়া কমে যাবে। পোড়া জায়গাটা তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে এবং পোড়া দাগ ওঠে যাবে।
»প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া দূর করতে হলে তুলসী পাতার রস ২৫০ গ্রাম দুধ এবং ১৫০ গ্রাম জলের মধ্যে মিশিয়ে পান করুন । তুলসি গাছের বীজও যথেষ্ট উপকারী। এর বীজ শুকিয়ে মিহি করে খেলে প্রস্রাবের ইনফেকশনজনিত সমস্যা ভালো হয়। পুরুষত্বহীনতা দূরীকরণে এই পাতার অবদান অপরিহার্য।
»যদি কখনও বমি কিংবা মাথা ঘোরা শুরু করে, তাহলে তুলসী রসের মধ্যে গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।
»সকালবেলা খালি পেটে তুলসী পাতা চিবিয়ে রস পান করলে খাবার রুচী বাড়ে।
»নিয়মিত তুলসীর রস পানে হৃদরোগেও উপকার পাওয়া যায়।
»চোখের সমস্যা দূর করতে রাতে কয়েকটি তুলসী পাতা পানিতে ভিজিয়ে রেখে ওই পানি দিয়ে সকালে চোখ ধুয়ে ফেলুন।
»তেজস্ক্রিয়তার ফলে ক্ষতিগ্রস্থ কোষসমুহকে মেরামত করে।
»তুলসী একশেরও বেশি Phytochemicalsবহন করে বলে ক্যান্সার চিকিত্সারয় ব্যবহৃত হয়।
»তুলসীর অ্যালকোহলিক নির্যাস Immune system এর রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে।
»শ্বসনতন্ত্রের বিভিন্নরোগ যেমন ব্রঙ্কাইটিস, ইনফ্লুয়েঞ্জা, হাঁপানি প্রভৃতি রোগের নিরাময়ক।
»দাঁতের রোগে উপশমকারী বলে টুথপেস্ট তৈরিতে ব্যবহার করা হয



) শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা দূর করে

সর্দি, কফের সমস্যা এবং সাইনোসাইটিসের সমস্যায় যারা রয়েছেন তারা নিয়মিত তুলসি চা পান করলে শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন দ্রুত।

) জ্বর কমায়

তুলসি চা জ্বরের ঔষধ হিসেবে পান করলে অনেক ভালো উপকার পাওয়া যায়। বিশেষ করে যদি চায়ে যোগ করা হয় দারুচিনি তাহলে দ্রুত ফল পাওয়া সম্ভব।

) পেটের গণ্ডগোল দূর করে

হজমে সমস্যার কারণে অনেকে প্রায়ই পেটে গণ্ডগোলে ভুগে থাকেন। নিয়মিত তুলসি চা পানের অভ্যাস করুন সমস্যার সমাধান হবে।

) খারাপ কলেস্টোরল কমায়

প্রতিদিন ১ কাপ তুলসি চা পানের অভ্যাস দেহের খারাপ কলেস্টোরল কমিয়ে দেয়। তুলসির ফাইটোকেমিক্যালস, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অর্গানিক কম্পাউন্ড দেহের খারাপ কলেস্টোরলের মাত্রা কমায়।

) দৃষ্টিশক্তির সমস্যা দূর করে

তুলসির বেটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ চোখের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। এটি রাতকানা রোগ সহ নানা চোখের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।

) দাঁত ও মুখের সমস্যা দূর করে

তুলসি পাতার ভিটামিন সি দাঁত ও মাড়ির নান সমস্যা সমাধানে বিশেষভাবে কার্যকরী। এছাড়াও তুলসি পাতার গুঁড়ো পানি দিয়ে মিশিয়ে পেস্টের মতো দাঁত ব্রাশের কাজে ব্যবহার করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।

) মানসিক চাপ দূর করে

খুব বেশি মানসিক চাপের মধ্যে সময় কাটালে প্রতিদিন তুলসি চা খাওয়ার অভ্যাস করা উচিত। কারণ তুলসি চায়ের মতো অ্যারোমেটিক বেভারেজ মানসিক চাপ দূর করতে বিশেষভাবে সহায়ক।

) অল্প বয়সে বুড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে

তুলসি পাতার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইটোকেমিক্যালস ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে বাঁধা প্রদান করে। এছাড়াও এর ভিটামিন এবং মিনারেলস দেহের ইমিউন সিস্টেম উন্নত করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ফলে অল্প বয়সে বুড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে।

যেভাবে তৈরি করবেন তুলসি চা

·         - ২ কাপ পানিতে ১ মুঠো তুলসি পাতা ভালো করে ধুয়ে ছেঁচে দিয়ে জ্বাল দিন চুলায়।
·         - পানি শুকিয়ে ১ কাপ হয়ে এলে কাপে ঢেলে নিন। চাইলে ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন।
* এছাড়াও তুলসি পাতা রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিয়ে চা পাতার মতো ব্যবহার করতে পারেন।

তুলসী গাছ ও পাতার উপকারিতা




তুলসী একটি ঔষধিগাছ। তুলসী অর্থ যার তুলনা নেই। সুগন্ধিযুক্ত, কটু তিক্তরস, রুচিকর। এটি সর্দি, কাশি, কৃমি ও বায়ুনাশক এবং মুত্রকর,হজমকারক ও এন্টিসেপটিক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে বিশেষ করে কফের প্রাধান্যে যে সব রোগ সৃষ্টি হয় সে ক্ষেত্রে তুলসী বেশ ফলদায়ক।

তুলসী একটি ঔষধি গাছ। তুলসী অর্থ যার তুলনা নেই। তুলসী এর ইংরেজি নাম Holy basil এবং বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে Ocimum basilicum Linn.

Comments

Popular posts from this blog

How to convert any number into word Indian Rupees in Excel

শত্রু দমন করবেন কিভাবে

অখণ্ড ভারত কত বড় ছিল?